যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বাকড়ী গ্রামে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসা নিতে আসা এগারো খান এলাকার বাসিন্দা ৬৮ বছর বয়সী বৃদ্ধ বিধান চন্দ্র মল্লিক বলেন দীর্ঘদিন বয়স্কজনিত রোগে ভুগছি। গ্রাম থেকে শহরের সরকারি হাসপাতালের দুরত্ব বেশি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরে যেতে পারছিনা না । শুক্রবার বাঘারপাড়ার বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্বরণে আয়োজিত বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্পে ফ্রি স্বাস্থ্য সেবা নিতে পেরে এবং বাড়ির কাছে সল্প সময়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখিয়ে সন্তুষ্টি প্রাকশ করেন এ বয়োবৃদ্ধ।

শুক্রবার (০৭ অক্টোবর) দুপুরে বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, সাইন্টিফিক সেমিনার ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করেন এগারোখান ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (ইউডিএফ)। এদিন প্রায় এক হাজার রোগী এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প থেকে সেবা নেন।

ফিতা কেটে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ইউডিএফ এর প্রধান উপদেষ্টা ও যশোর মেডিকেল কলেজের অবসরপ্রাপ্ত গাইনী বিশেষজ্ঞ বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. নিকুঞ্জ বিহারী গোলদার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন,খুলনা আবু নাসের হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক ও সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. অধ্যাপক বিধান চন্দ্র গোস্বামী, স্বাস্থ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা.সঞ্জয় কুমার পাঠক, কনসালটেন্ট ডা. সরুপ গোলদার, ডা. পূরবী দাস বকসী কনসালটেন্ট অবস এন্ড গাইনী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. সঞ্চিতা অধিকারী মিষ্টি, সিনিয়র ডেন্টাল সার্জন ডা. আশিষ কুমার বিশ্বাস,ডা.অলো কুমার বাগচী মেডিকেল অফিসার নড়াইল সদর হাসপাতাল,ডা.সুবির গুপ্ত ইএনটি ময়মনসিংহ, ডা.ফাল্গুনি অধিকারী মেডিকেল অফিসার জেড এইচ ওমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ।

অনুষ্ঠানে ডা.নিকুঞ্জ বিহারী বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক আমি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব স্মরণে ২০১৬ সাল থেকে সপ্তাহে দু’দিন বাঘারপাড়া, বসুন্দিয়া, অভয়নগরে হাজার হাজার অসহায় দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছি। এর আগেও এ ভাবে আমার এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আগামীতেও যতদিন ভগবান আমাকে বাচিয়ে রাখবে ততদিন আমি আমার এলাকার মানুষের কল্যানে কাজ করে যাব।’

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের কর্মসুচি আমরা প্রতিবছর করে থাকি। সমাজের যাদের সাধ্য আছে তাদেরকেও আমি আহবান করবো জনকল্যাণে এমন উদ্যেগ গ্রহন করার জন্য।’

এর আগে ইউডিএফ এর পক্ষ থেকে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও ১০ জন দরিদ্র ও মেধাবী কৃতি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রাদন করা হয়।